আট মাস বয়সী শিশু ইমরান হাসানকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে মা হামিদা আক্তারকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমান এই দণ্ডাদেশ দেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হামিদা আক্তারকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, হামিদা আক্তারের সাথে পারিবারিক কলহের কারণে বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় স্বামী তেঁতুলিয়ার লথিবগঞ্জ এলাকার আক্তারুল ইসলামের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এরপর শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বাবার বাড়ি আটোয়ারী দোহসুহ গ্রামে ফিরে যায় হামিদা। ওই বছর ১২ এপ্রিল দুপুরে ইমরান ঘুমাচ্ছিল। ঠিক এসময় বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে মা হামিদা।
এই ঘটনায় শিশুটির চাচা মজনু হক বাদি হয়ে চার জনের নামে আটোয়ারি থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন হামিদা আক্তারসহ (২২) তার মা খোদেজা বেগম (৪৫), হামিদা আক্তারের বাবা হাসান আলী। হামিদা আক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিশুটির মা হামিদা আক্তারকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এরপর একাধিক সাক্ষ্যগ্রহণসহ দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বুধবার হামিদার উপস্থিতিতে আদালত এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। একই আদেশে অপর দুই আসামির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন।